অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজায় ইহুদিবাদী দখলদারদের হাতে ইয়াহিয়া সিনাওয়রের শাহাদাতের ভিডিও সোশাল মিডিয়াগুলোর ইউজার বা গ্রাহকদের ব্যাপক দৃষ্টি কেড়েছে। অনেক ইরানি গ্রাহক এক্স মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সিনাওয়ারের রক্ত আবারও ফিলিস্তিনকে গতিশীল করবে : ইয়েক তা মোরাদ নামের একজন গ্রাহক এক্স মিডিয়ায় লিখেছেন, সিনাওয়ারের রক্ত আবারও ফিলিস্তিনকে গতিশীল করবে এবং ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের পতাকা মাটিতে পড়ে থাকবে না। এ ভূখণ্ড আবারও গতিশীল হবে এবং ফিলিস্তিন গতিশীলতা, প্রতিরোধ ও গতিশীলতার দেশ।
ইসরাইলের সমাপ্তি বা অবসানকে স্বাগত জানানো উচিত : আহমাদ রেজা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সম্বোধন করে লিখেছেন, তুমি হয়ত মনে করেছে সন্ত্রাসী ইসরাইল পতনের হাত হতে রক্ষা পেল! এর সমাপ্তিকে স্বাগত জানানো উচিত। আমরা সবাই সিনাওয়ার ও নাসরুল্লাহ।
প্রশংসনীয় দেশপ্রেম: ইরানের স্বর বা কণ্ঠ নামের এক গ্রাহক লিখেছেন: শহীদ ইয়াহিয়া সিনাওয়ার ইসরাইল ও মৃত্যু-কোনোটাকেই ভয় পেতেন না! আর এই পরোয়াহীনতা নিয়েই তিনি স্বদেশে থেকেই শহীদ হয়েছেন শেষ পর্যন্ত যাতে সারা দুনিয়া জানতে পারে যে মাতৃভূমির প্রেম দুনিয়ার সব প্রেম থেকে ভিন্ন। সিনাওয়ার নিজ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।
সিনাওয়ার অমর হলেন : এক্স-এর আরেক ইরানি গ্রাহক লিখেছেন, সিনাওয়ার প্রতিরোধ ও আত্মমর্যাদার প্রতীক এবং মুক্তিকামীদের আদর্শ। যতদিন পৃথিবী টিকে থাকবে ততদিন তার নাম উচ্চারিত হবে মানুষের মুখে।
সিনাওয়ার ইহুদিবাদীদের প্রাণঘাতী আতঙ্ক : কেইস কুরাইশি নামের একজন লিখেছেন: সিনাওয়ারের শাহাদাতের আগের ও পরের ছবি আর ফিল্মগুলো ইসরাইলের জন্য প্রাণঘাতী হবে। ফিলিস্তিনি শিশু ও তরুণরা কর্মক্ষেত্রে তাঁকে আদর্শ বা মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে।
খালি হাতে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে সংগ্রাম শেীর্য ও বীরত্বের সাক্ষ্য : হানি বুরকি নামের এক ইরানি যুবক লিখেছেন: আমরা আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষার যুদ্ধ দেখিনি, যুদ্ধ আমাদের কাছে এক রূপকথার মত অদৃশ্য বিষয়। কিন্তু সর্বাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত শত্রুর সঙ্গে খালি হাতে লড়াই নতজানু না হওয়ার ও নির্ভয় থাকার বীরত্ব আর দৃশ্য … এবং ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোর ভিডিও এই চেতনাকেই আমাদের সামনে তুলে ধরে।
Leave a Reply